সাটারিং এ কিছু কথা
Md. Ashraful Haque, 17-Nov-2012
ভিউ : 130918
সাটারিং এর আরেক নাম হলো ফর্ম ওয়ার্ক । কি এই সাটারিং বা ফর্মওয়ার্ক। এটা হলো অস্থায়ি কাঠামো। কংক্রিট এর কাজ করার জন্য এর প্রয়োজন বাধ্যতামুলক। আমরা জানি কংক্রিক কাচা অবস্থায় কাদার মত থাকে। শুধুমাত্র জমাট বাধার পর এর একটি নির্দিষ্ট আকার আসে। এই নির্দিষ্ট আকার দেয়ার জন্য , আকার অনুযায়ি অস্থায়ি কাঠামো তৈরি করা হয়। এর পর এই কাঠামোর মধ্যে কাচা কংক্রিট দেয়া হয় এবং শুকানো বা প্রয়োজনীয় শক্ত হওয়ার পর কাঠামো খুলে ফেলা হয়।যেমন কলাম করার ক্ষেত্রে রড বাধার চারপাশে প্রয়োজনীয় ফাকা রেখে কলাম এর আকৃতিতে কাঠামো করা হয়। এর পর এই ফাপা অংশের ভেতরে কাচা কংক্রিট দেয়া হয়। মোট খরচের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ খরচ হয় এই সাটারিং এর। সাটারিং সাধারণত কাঠ বা স্টীল এর হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে স্টীল সাটার বেশি ব্যবহুত। কেননা এই সাটার অনেকবার ব্যবহার করা যায়, এর পানি শোষন হয় না। আবার এর কংক্রিট এর ভার বহন ক্ষমতাও বেশি। কাঠ দিয়ে সব ধরনের আকার দেয়া যায়না, কিন্তু স্টীল দিয়ে যেকোন আকার দেয়া যায়। যেমন রাউন্ড কলাম করতে হলে স্টীল ব্যবহার করতে হবে। কাঠ দিয়ে করা যাবে না।
ভাল সাটারিং এর গুনাগুন
১) এর যথেষ্ট পরিমান ডেডলোড এবং লাইভ লোড বহন করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
২) যেই উপাদান দিয়ে তৈরি তা যেন ভাজ না হয়, বা আকৃতি পরিবর্তন না হয় ঢালাই এর সময়
৩) ব্যবহুত মালামাল সহজলভ্য এবং সুলভ মুল্যের হতে হবে।
৪) সাটারিং এর জয়েন্ট যথেষ্ট মজবুত এবং আট-শাট হতে হবে যাতে করে সিমেন্ড গোলা বের হয়ে না যায়।
৫) পুন:ব্যবহার গুন থাকতে হবে। অর্থাৎ একাধিকবার খুলে কাজে লাগানোর উপযোগি হতে হবে।
৬) সাটারিং খোলার সময় কংক্রিট এর কোন প্রকার ক্ষতি হতে পারবে না।
৭)শক্ত ভিত্তোর উপর ফর্মওয়ার্ক স্থাপন করতে হবে।
৮) আনুভুমিক এবং উলম্ব উভয় দিকেই যথেষ্ট পরিমান সাপোর্ট বা বাধন দিতে হবে।
৯) যত পাতলা হবে ততই ভাল। বেশি ভারি হলে বহন করা, সাটার নিয়ে কাজ করা সমস্যা হবে এবং কাজের গতি কমে যাবে।
কাঠের ফর্মওয়ার্ক করার সময় নিচের বিষয়গুলি বিবেচনায় আনতে হবে।
কাঠের সাটারিং এর সাধারণ সাইজ
স্ল্যাব, বীম এবং কলাম এর জন্য | ২৫ থেকে ৪০ মিলিমিটার |
জয়েন্ট এবং পায়াতে | ৫০ X ৭০ মিলিমিটার থেকে ৫০ X ১৫০ মিলিমিটার |
পোষ্ট | ৭৫ X ১০০ মিলিমিটার থেকে ১০০ X ১০০ মিলিমিটার |
মন্তব্য সমুহ