প্লাস্টার নিয়ে কিছু কথা

Md. Ashraful Haque, 11-Apr-2001
ভিউ : 76820

প্লাস্টার বিভিন্ন ধরণের হয়।

১. জিপসাম প্লাস্টার ২. লাইম প্লাস্টার ৩. সিমেন্ট প্লাস্টার

তবে সিমেন্ট প্লাস্টার বেশি ব্যবহুত এবং বেশি পরিচিত। আজ এই ধরণের প্লাস্টার নিয়ে আলোচনা কর।

সিমেন্ট-বালি দিয়ে যেই প্লাস্টার করা হয় তাকে সিমেন্ট প্লাস্টার বলে। বিভিন্ন অনুপাতে সিমেন্ট ও বালি মিশিয়ে এর সাথে পানি যুক্ত করা হয়। তারপর এর মিশ্রণটি দিয়ে প্লাস্টার করা হয়। সিমেন্ট দিয়ে করা হয় বলে একে সিমেন্ট প্লাস্টার বলা হয়। বালি প্লাস্টার বলা হয় না কারণ বালির সাথে চুন মিশিয়েও প্লাস্টার করা হয়ে থাকে, তবে একে লাইম প্লাস্টার বলে।

এর প্রয়োগ পদ্ধতি

১. কি পরিমান সিমেন্ট ও বালি লাগবে তা প্রথমে পরিমাপ করে নিতে হবে।

২. সিমেন্ট ও বালি আনুপাতিক হারে মেশাতে হবে।

৩. এবার এই সিমেন্ট ও বালি মিশ্রিত মিশ্রণে পানি পরিমান মত দিতে হবে।

৪. পানির পরিমান এমন হবে যেন শক্ত জেল এর মত না হয়।কেননা ঢলঢলে হলে তা ভালমত ধরবে না। গড়িয়ে পড়ে যাবে। আবার বেশি শুকনা হলেও চলবে না।

৫. প্লাস্টার করার আগে দেয়ালে পানি ছিটিয়ে নিতে হবে।

৬. এরপর কুর্ণী দিয়ে প্লাস্টারটি দেয়ালে মারতে হবে।

৭. এবার একটু সময় দিতে হবে যেন দেয়াল প্লাস্টারকে আকড়ে ধরতে পারে।

৮. কুর্ণী দিয়ে প্লাস্টারকে মসৃণ করতে হবে।

৯. এরপর পাট্টা ব্যবহার করে পুরো সার্ফেস ফিনিশ করতে হবে।

১০. কোন ডিজাইন থাকেলে এই কাচা অবস্থায় করতে হবে। কেননা শুকিয়ে গেলে এটা মজবুত হয়ে যাবে।

ব্যবহুত টুল্‌স

১. ব্যলচা

২. তাগাড়  বা কড়াই

৩. কুর্ণী

 

৪. পাট্টা

 

৫. মসলা বহন করার ছোট গাড়ি

৬. মেজারিং টেপ বা মাপার টেপ

সাবধানতা

১. খালি হাতে সিমেন্ট নাড়াচারা করা যাবে না। এতে করে হাতের ক্ষতি হয়।

২. সিমেন্ট ব্যাগ বা বস্তা খোলার সময নাকে-মুখে মাস্ক বা কাপড় পরতে হবে। শুকনা সিমেন্ট এর ধুলা নাকে গেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৩. অতি ঠান্ডায় প্লাস্টার না করা ভাল। কেননা এতে করে সিমেন্ট এর জমাট বাধাগ্রস্ত হয়।

৪. আচ্ছাদিত স্থানে মসলা মাখাতে হবে। না হলে শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

মন্তব্য সমুহ

সাম্প্রতিক কমেন্ট
  • তাহলে এটা কি পানিতে ভাসে ?
  • I need question
  • https://drive.google.com/file/d/1jfI45yGzk7of5jDXODfVNmZvgPS7E7aR/view?usp=sharing
Similar Calculations
আর্কাইভ

মাস বছর