কিছু তথ্য
স্থান: কোবে এন্ড আওয়াজি-সিমা, জাপান
নির্মান কাজ শেষ হওয়ার তারিখ: ১৯৯৮
খরচ: ৪.৩ বিলিয়ন ডলার
দৈর্ঘ্য: ১২৮২৮ ফুট
ধরণ: ঝুলন্ত
উদ্দেশ্য: রাস্তা
গাঠনিক উপাদান: স্টীল
সবচেয়ে বড় স্প্যান: ৬৫২৭ ফুট
ইঞ্জিনিয়ার: হংশু-শিকোকু অথরিটি
এই ব্রিজটি ১৯৯৮ সালে জাপানে নির্মিত হয়। এটি ব্রুকলন থেকে প্রায় চারগুন লম্বা। এই ব্রীজটি যেমন লম্বা তেমনি উচু। এই দুটি টাওয়ার ৯২৮ ফুট লম্বা।
এটি খুব ব্যস্ত একটি পোর্ট এর কাছে। তাই এটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যাতে করে জাহাজ চলাচলের কোন প্রকার অসুবিধা না হয়। আমরা জানি জাপান সবচেয়ে আবহাওয়া প্রতিকুল একটি দেশ। এখানে বৃষ্টি হয় বছরে ৫৭ ইঞ্চ। এছাড়া ভুমিকম্প, হ্যারিকেন, বাতাস, সুনামি ইত্যাদি তো আছেই। এই আবহাওয়া বিবেচনা করেই কিন্তু এই ব্রীজটি নির্মান করেছেন ইঞ্জিনিয়ারগণ।
এটির নিচে ত্রিভুজাকৃতির ট্রাস দিয়ে তৈরি করার কারণে এটি একদিকে যেমন দৃঢ় তেমনি বাতাস সহজেই প্রবাহিত পারে। শুধু তাই নয় এতে এমন এক প্রযুক্তি লাগানো হয়েছে যা বাতাসের গতির সাথে খেলা করে বাতাসের প্রভাবকে কমিয়ে দেয়। এই ব্রীজ ১৮০ মাইল গতিবেগের বাতাস পর্যন্ত সহ্য করতে পারে। এবং ৮.৫ রিকটার স্কেল এর ভুমিকম্পতেও এই ব্রীজ দাড়িয়ে থাকতে সক্ষম।
নিচে তুলনামুলক কিছু ব্রীজ এর চিত্র দেয়া হলো:
- এটি এত বড় যে ৮ টা সিয়ার্স টাওয়ার শুয়ে রাখলে এই ব্রীজ এর সমান হবে
- এর ব্যবহুত তারের দৈর্ঘ্য ৩০০০০০ কি:মি: যা দিয়ে এই পৃথিবীকে ৭.৫ বার পাক দেয়া যাবে। (পরিধী আকারে)
- এটি প্রথমে ১২৮২৫ ফুট করার কথা থাকলেও ভুমিকম্প এর কথা চিন্তা করে ১৭ জানুয়ারি ১৯৯৫ বিখ্যাত হানসিন ভুমিকম্প এর উচ্চতা ৩ ফুট বাড়িয়ে দেয়।
- এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড়,উচু এবং ব্যয়বহুল ব্রীজ