NEED4ENGINEER.COM , ২০১১ সাল থেকে অলাভজনক ভাবে নির্মাণ কাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে

লোহা, পর্ব-২

Md. Ashraful Haque, 17-Nov-2012
ভিউ : 17510

রডের নম্বর ও আকার বাংলাদেশে বর্তমানে নিম্ন বর্ণিত রডগুলো বাজারে পাওয়া যায়।

বার নম্বর রডের ব্যাস (মিমি) বার নম্বর রডের ব্যাস (মিমি)
# ২ # ৭ ২২
# ৩ ১০ # ৮ ২৫
# ৪ ১২ # ৯ ২৮
# ৫ ১৬ # ১০ ৩২
# ৬ ২০ # ১১ ৩৫
৩ সুতা বা ৩নং রডকে # ৩ রড বলে। এর ব্যাস ৩/৮ ইঞ্চি বা ১০ মিমি। এখানে ১ সুতা = ১/৮ ইঞ্চি। এটি এফ. পি. এস. পদ্ধতির একটি একক। চিত্র ৭.১ : ডিফর্মড বার এম. এস. রডের ব্যবহারের ক্ষেত্রসমূহ প্রায় সকল নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়। বিশেষভাবে ইমারত, ব্রিজ, কালভার্ট, রিটেইনিং ওয়াল, সড়ক ইত্যাদির আর.সি.সি. কাজে এম. এস রডের ব্যপক ব্যবহার দেখা যায়। প্লেইন বার ও ডিফর্মড বারের মধ্যে পার্থক্য
ক্রমিক নং প্লেইন বার ডিফর্মড বার
পৃষ্ঠদেশ মসৃণ হওয়ায় কংক্রিটের সাথে বন্ড সৃষ্টিতে ততটা কার্যকর নয়। পৃষ্ঠদেশ অমসৃণ তথা ঢেউ খেলানো হওয়ায় কংক্রিটের সাথে অধিকতর বন্ড সৃষ্টি করে।
বন্ডিং এর জন্য হুক দিতে হয়। বন্ডিং এর জন্য হুক দিতে হয় না।
তুলনামূলকভাবে কম শক্তিশালী। ফলে রড বেশী লাগে। তুলনামূলকভাবে বেশী শক্তিশালী। ফলে রডের সাশ্রয় হয়।
ওভার ল্যাপিং এর দৈর্ঘ্য বেশি দিতে হয়। ওভার ল্যাপিং এর দৈর্ঘ্য কম দিতে হয়।
নির্মাণ কাজের খরচ বৃদ্ধি করে। তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী।
এম. এস. রডের একক ওজন এক ঘনমিটার লোহার ওজনকে লোহার একক ওজন বা ঘনত্ব বলা হয়। এম. এস. রডের একক ওজন ৭৮৫০ কেজি/ঘনমিটার। এছাড়া প্রতি মিটারে এম. এস. রডের ওজন নিম্নের সূত্রের সাহায্যে নির্ণয় করা যায়। প্রতি মিটারে ওজন = dia(mm)2162.2 কেজি এখানে, রডের ব্যাস হবে মিলিমিটার এককে W = রডের একক ওজন (কেজি/মিটারে) এম. এস. রডের রক্ষণাবেক্ষণ কৌশল মূলত রডকে মরিচার হাত হতে রক্ষা করাই রক্ষণাবেক্ষণ কাজের উদ্দেশ্য। মরিচা রডের ক্ষয় সাধন করে এবং শক্তি ও স্থায়িত্ব হ্রাস করে। কাজেই ব্যবহারের পূর্বে বা পরে লোহাকে মরিচার হাত হতে রক্ষা করতে নিম্নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। যথা-
  1. পানি বা আর্দ্রতার সংস্পর্শে আসা থেকে রডকে দূরে রাখতে হবে।
  2. খোলা জায়গায় রড রাখা উচিত নয়।
  3. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে রডে রেড অক্সাইড এর প্রলেপ দিলে মরিচা পড়া বন্ধ হয়।
  4. নিকেল, ক্রোমিয়াম, দস্তার প্রলেপ দিলেও মরিচা ধরে না।
  5. লোহার সাথে নিকেল ও ক্রোমিয়াম ধাতুর মিশ্রিত সংকর ধাতু লোহা মরিচা প্রতিরোধে সক্ষম।
  6. লৌহজাত দ্রব্যের উপর গ্রিজ ব্যবহার করলে মরিচা পড়ে না।
  7. কংক্রিটে প্রয়োজনীয় কাভারিং দিয়েও লোহাকে মরিচার হাত হতে রক্ষা করা যায়।
  8. কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাজ শেষে লোহাকে যদি কংক্রিটের বাহির উন্মুক্ত রাখতে হয় তবে আয়রন অক্সাইডের প্রলেপ দিতে হবে অথবা ১ : ১৫ বা ১ : ২০ অনুপাতে সিমেন্ট ও বালি দ্বারা তৈরি মসলা দ্বারা ঢেকে দিতে হবে।